সুয়াগঞ্জ চাকুরীজীবি কল্যান সমিতি (সুয়াগঞ্জ বাজার)
ধারা- ১: সুয়াগঞ্জ চাকুরীজীবি কল্যান সমিতি।
ধারা- ২: সমিতির কার্যালয়: সুয়াগাজী বাজার বাইতুল আমান মসজিদের সাথে, সদর দক্ষিণ ,কুমিল্লা, বাংলাদেশ।
ধারা- ৩: সমিতির ভিত্তি: সমিতি সম্পূর্ণরূপে অরাজনৈতিক সমাজ কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান।
ধারা- ৪: সমিতির কার্যক্রমের আওতাভূক্ত এলাকা: সুয়াগাজী এলাকা।
ধারা- ৫: সমিতির বিস্তারিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
৫.ক সুয়াগঞ্জ চাকুরীজীবি কল্যান সমিতি আওতাভূক্ত এলাকায় বসবাসরত কুমিল্লা জেলার (সকল পর্যায়ের) সর্ব সাধারণের মধ্যে পারস্পরিক একতা, সৌহার্দ্য, সম্প্রিতি, ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মীতামূলক সম্পর্ক স্থাপন এবং তাদের সার্বজনীন কল্যাণ সাধনে সচেষ্ট হওয়া।
৫.খ কুমিল্লা জেলার দুঃস্থ, দরিদ্র ও বেকার লোকদের আর্থিক ও সেবামূলক সহযোগিতা প্রদান করা।
৫.গ কুমিল্লা জেলার সন্তান, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের স্মৃতি রক্ষার্থে স্মৃতি যাদুঘর স্থাপন করা।
৫.ঘ কুমিল্লা জেলার গরীব অথচ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি ও আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করা।
৫.ঙ কুমিল্লা জেলার আর্তপীড়িত, এতিম, বৃদ্ধ ও অসহায় লোকদের সাহায্যের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা ও অন্যান্য সাহায্যের ব্যবস্থা করা।
৫.চ ইউনিয়নের বেকার যুবক, যুবতীদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও তাদের পুনর্বাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৫.ছ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধরণের সাহায্যে এগিয়ে আসা তথা মানবতার সেবায় ব্রতী হওয়া।
৫.জ জেলার ঐতিহ্যবাহী শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পুরাকীর্তির সঠিক সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উৎকর্ষ সাধনে সচেষ্ট হওয়া।
৫.ঝ কুমিল্লা জেলার সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৫.ঞ ক্রীড়া ও চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা গ্রহণ কর।
৫.ট কুমিল্লা জেলা সমিতির মাধ্যমে সমিতির সদস্যদের সুচিকিৎসার জন্য ফ্রি ক্লিনিকের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৫.ঠ বার্ষিক স্মরনিকা প্রকাশের মাধ্যমে জেলার ঐতিহ্য তথা জাতীয় পর্যায়ে বিশিষ্ট ব্যক্তি
বর্গের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা । এছাড়া সমিতির উন্নয়নকল্পে এবং নওগাঁ জেলা
সমিতির সার্বিক উন্নয়নে সাধারন সদস্যদের পরামর্শক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
ধারা-৬: সমিতির সদস্য হওয়ার যোগ্যতা:
৬.ক কুমিল্লা জেলা সমিতির আওতাভুক্ত এলাকায় বসবাসরত সুয়াগাজী এলাকা সর্বসাধারন অর্থাৎ ব্যবসায়ী, সরকারী-বেসরকারী চাকুরীজীবি, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিগন অত্র সমিতির আদর্শ, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের প্রতি আস্থাশীল থেকে সমিতির গঠনতন্ত্র এর প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করে সমিতির সদস্য পদ লাভের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
৬.খ সমিতির সদস্যপদ লাভের জন্য আবেদনকারীর বয়স সর্বনি¤œ ১৮ বছর হতে হবে। অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীরা সমিতির সদস্য হতে পারবেন না।
৬.গ সদস্যপদ লাভের জন্য সমিতির নির্ধারিত আবেদন ফর্মে আবেদন করতে হবে।
৬.ঘ সমিতির সাধারন সদস্য পদ লাভের জন্য ভর্তি ফি ১০০০/- টাকা এবং মাসিক চাঁদা ২০০/- টাকা, তবে কোন সদস্য যদি ১ বছরের চাঁদা এককালীন দিতে চায় তাহলে ২২০০/- টাকা প্রদান করতে হবে। আজীবন সদস্য পদের জন্য ৫,০০০/- টাকা চাঁদা প্রদান করতে হবে। সকল চাঁদা সমিতির নির্ধারিত চাঁদা আদায়ের রশিদ এর মাধ্যমে প্রদান করতে হবে।
৬.ঙ জনকল্যাণমূলক কাজের এবং মানবতার সেবায় নিবেদিত প্রাণ, খ্যাত ও স্বনামধন্য নওগাঁ জেলার যে কোন অধিবাসী/ব্যক্তিকে নির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে সমিতির সম্মানিত সদস্য পদে ভূষিত করা যাবে।
৬.চ সদস্য পদ কার্যকারী কমিটির সভায় আলোচনার মাধ্যমে সভাপতি কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
ধারা-৭: সমিতির সদস্যপদ বাতিলকরণ:
৭.ক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমিতির স্বার্থ ও গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী কোন কাজ করেছে বলে প্রমানিত হলে।
৭.খ মাসিক চাঁদা একাধারে বার মাস যাবত পরিশোধ না করলে।
৭.গ মস্তিস্ক বিকৃতি ঘটলে ও আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হলে।
৭.ঘ সমিতির অর্থ আতœসাৎ করলে।
৭.ঙ যদি কোন সদস্যের কার্যকলাপ কার্যনির্বাহী পরিষদের বিবেচনায় সমিতির পক্ষে ক্ষতিকর কিংবা গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী বিবেচিত হয়, তাহলে পরবর্তী কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে কমিটি তার সদস্য পদ সাময়িকভাবে বাতিল করতে পারবে। পরবর্তী সাধারন সভায় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। সমিতির কোন সদস্য/সদস্যা সমিতির সদস্য পদ হারালে কার্যকারী কমিটির পদ ও হারাবেন।
৭.চ কার্যনির্বাহী পরিষদের যে কোন সদস্য, সাধারন সদস্য ও অন্যান্য সদস্য অত্র সমিতিকৃত চাকুরী করলে এবং বেতন ভাতাদি গ্রহণ করলে তার সদস্য পদ বাতিল হবে।
ধারা- ৮: পূনরায় সদস্যপদ লাভ:
সদস্যের সদস্য পদ বাতিল হওয়ার পর তার সদস্য পদ পূনঃলাভের জন্য তাকে সমিতির প্রাপ্য সম্পুর্ণ বকেয়া চাঁদা প্রদান করে সন্তোষজনক কারণ বর্ণনাপূর্বক সভাপতির নিকট আবেদন করতে হবে। কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থিত দুই তৃতীয়াংশ সদস্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ও তদন্তের পর উক্ত সদস্যের সদস্য পদ লাভের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
ধারা- ৯: কার্যনির্বাহী পরিষদের রূপরেখা ও গঠন পদ্ধতি:
সমিতির আদর্শ ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং সমিতির কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য নি¤œবর্ণিত ২৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা হবে। নির্বাহী পরিষদ সমিতির নির্বাচনী সভায় সাধারন সদস্যগণের প্রত্যক্ষ ভোটে দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন।
কার্যনির্বাহী পরিষদের নি¤œলিখিত পদগুলো থাকবে:
১। সভাপতি ১ জন
২। সহ-সভাপতি ৫ জন
৩। সাধারণ সম্পাদক ১ জন
৪। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৩ জন
৫। অর্থ সম্পাদক ১ জন
৬। সাংগঠনিক সম্পাদক ১ জন
৭। দপ্তর সম্পাদক ১ জন
৮। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ১ জন
৯। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১ জন
১০। মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
১১। ক্রীড়া সম্পাদক ১ জন
১২। সমাজকল্যাণ সম্পাদক ১ জন
১৩। শিক্ষা সম্পাদক ১ জন
১৪। নির্বাহী সদস্য ১৪ জন
মোট = ৩৩ জন
ধারা- ১০: পৃষ্ঠপোষক/উপদেষ্টা পরিষদ:
১০. ক কুমিল্লার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও সর্বোচ্চ সম্মানিত ব্যক্তি প্রধান পৃষ্ঠপোষক হবেন এবং জেলার নির্বাচিত মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ পৃষ্ঠপোষক হিসেবে গন্য হবেনা।
১০. খ কুমিল্লা জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা যাবে। তিনি/তারা সমিতির অগ্রগতি ও সুষ্ঠু পরিচালনার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবেন।
ধারা- ১১: কার্যনির্বাহী কমিটির ক্ষমতা ও কার্যাবলী:
১১.ক সমিতির আদর্শ ও উদ্দেশ্য বাস্তাবায়নের জন্য যে কোন বৈধ কর্মসূচী যথাযথ ভাবে বাস্তবায়ন করা।
১১.খ সমিতির বিভিন্ন কার্যাবলী পরিচালনার জন্য এক বা একাধিক উপ-কমিটি গঠন করা।
১১.গ সমিতির আয় ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষন করা এবং সার্বাধিক নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় আয় বৃদ্ধি ও ব্যয়ের নিশ্চয়তা বিধান করা।
১১.ঘ গঠনতন্ত্রে বর্ণিত নিয়মাবলী সকল ক্ষেত্রে যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে, তার নিশ্চয়তা বিধান করা।
১১.ঙ বছরের হিসাব পরীক্ষার জন্য যথাসময়ে অডিটর নিয়োগ করা।
১১.চ যথাসময়ে দায়িত্বভার হস্তান্তরের লক্ষ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সময়মত নির্বাচন কমিশন গঠন করা।
১১. ছ সমিতির কাজ সম্পাদনের জন্য কোন কর্মচারী নিয়োগ করা এবং তার নিয়োগের শর্তাবলী প্রণয়ন করা। কর্মচারী নিয়োগের আগে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।
১১.জ কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে সমিতির স্বার্থে সাহায্য গ্রহণ করা।
১১.ঝ গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী নয় এমন যে কোন আর্থিক খরচের অনুমোদন করা।
১১.ঞ সমিতির আঞ্চলিক শাখা গঠন করা এবং তার গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা।
১১.ট সমিতির সদস্য পদ লাভের আবেদন অনুমোদন করা।
১১.ড কার্যনির্বাহী কমিটির সাময়িক শূন্য পদে সদস্য-সদস্যা মনোনীত করা।
ধারা- ১২: কার্যনির্বাহী কমিটির ক্ষমতা ও দায়িত্ব:
১২.ক সভাপতি: সভাপতি সমিতির সাংবিধানিক প্রধান থাকবেন এবং তিনি সমিতির সকল সভায় সভাপতিত্ত্ব করবেন। তিনি সভার তারিখ, সময় ও আলোচ্যসূচীর জন্য সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ প্রদান করবেন এবং কার্যবিবরণীতে স্বাক্ষর করবেন। তিনি অন্তবর্তীকালীন কার্যাবলী সম্পাদনের জন্যও আদেশ দিতে পারবেন, কিন্তু পরবর্তী সাধারণ সভায় উক্ত কাজের অনুমোদন নিতে হবে। কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সমান সংখ্যক ভোট হলে তিনি নির্নায়ক ভোট প্রদান করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। গঠনতন্ত্রের কোন ধারার ব্যাখ্যার প্রশ্নে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সভাপতির মতামত ও ব্যাখ্যা কার্যকর হবে।
অগঠনতান্ত্রিক প্রস্তাব সভাপতি বাতিল করে দিতে পারবেন। তিনি অন্তরবর্তীকালীন সময়ের জন্য সাধারণ পরিষদের সম্মতিক্রমে ১টি এডহক কমিটি গঠন করতে পারবেন এবং ৯০ দিনের মধ্যে বিশেষ সভা আহ্বান করে নির্বাচনের মাধ্যমে কার্যকরী পরিষদ গঠন করতে পারবেন।
১২.খ সহ-সভাপতিবৃন্দ: সভাপতির অনুপস্থিতে ক্রমানুসারে সহ-সভাপতিগণ সমিতির দায়িত্ব ও কার্যাবলী পরিচালনা করবেন।
১২.গ সাধারণ সম্পাদক: সভাপতির সাথে আলোচনাক্রমে সমিতির উদ্দেশ্য সাধনের ব্যাপারে গঠনতন্ত্রে বর্ণিত পরিষদের সিদ্ধান্তবলী বাস্তবায়নের সম্পূর্ণ দায়িত্ব সাধারণ সম্পাদকের উপর ন্যস্ত থাকবে। তিনি কার্যনির্বাহী প্রধান হিসাবে সমিতির সকল বিভাগের চড়ৎঃ ভড়ষরড়-এর তদারকী ও সমন্বয় সাধন করবেন। সভাপতির সাথে আলোচনাক্রমে সকল ব্যয়ের অনুমোদন প্রদান করবেন। তিনি সমিতির সাধারণ সভা, বিশেষ সভা, কার্যকরী পরিষদের সভাসহ যাবতীয় সভা যথানিয়মে আহ্বান করবেন এবং সকল সভার কার্যবিবরণী সংরক্ষন করবেন। সাধারন সম্পাদক সমিতির যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দায়ী থাকবেন। বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি সমিতির বিগত বছরের কার্যাবলীর প্রতিবেদন পেশ করবেন। সমিতির দৈনন্দিন ও জরুরী খরচের জন্য তিনি এককালীন সমিতির তহবিলের ১০০০/- টাকা পর্যন্ত নগদ হাতে রাখতে পারবেন। ১০০০/- টাকার অধিক যে কোন একক খরচের ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক সভাপতির সাথে পরামর্শক্রমে খরচ করতে পারবেন। তবে কার্যকরী সংসদের পরবর্তী সভায় তার অনুমোদন নিতে হবে। তিনি সভাপতির সাথে পরামর্শক্রমে সমিতির পক্ষে চিঠিপত্র লিখতে ও প্রয়োজনীয় খরচাদী করতে পারবেন।
১২.ঘ যুগ্ম সাধারন সম্পাদক: সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতে তারা ক্রমানুসারে সম্পাদকের দায়িত্ব পরিচালনা করবেন এবং সমিতির কাজ পরিচালনায় সাহায্য করবেন।
১২.ঙ অর্থ সম্পাদক: অর্থ সম্পাদক সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় সমিতির তহবিল সংগ্রহের ব্যবস্থা করবেন। তিনি যথাসময়ে সভাপতি / সাধারন সম্পাদক এর অনুমোদনক্রমে ব্যাংকে সমিতির অর্থ জমা দেবেন। অর্থ সম্পাদক সমিতির আয় ব্যয়ের হিসেব সঠিকভাবে রাখার জন্য এককভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বার্ষিক সাধারন সভায় সমিতির বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসেব পেশ এবং বছরের বাজেট প্রস্তুত করবেন।
১২.চ সাংগঠনিক সম্পাদক: সাংগঠণিক সম্পাদক সমিতির উপযুক্ত সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধিসহ সমিতির সদস্য সংগ্রহের দায়িত্ব পালন এবং সাধারন সম্পাদকের নির্দেশাবলী বাস্তবায়ন করবেন।
১২.ছ দপ্তর সম্পাদক: দপ্তর সম্পাদক সমিতির নথিপত্র, কার্যালয়ের মালামালের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকবেন। সমিতির মালামালের জন্য একটি রেজিষ্টার খুলে উহাতে মালামালের হিসেব সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করে রাখবেন। তিনি সাধারণ সম্পাদকের অনুমোদনক্রমে সমিতির পক্ষে ক্ষেত্র বিশেষে বিভিন্ন দপ্তরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবেন।
১২.জ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক: প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সমিতির আদর্শ ও উদ্দেশ্য সমিতির সদস্যদের মধ্যে প্রচারের দায়িত্ব পালন করবেন। সমিতির কার্যাবলীর বিবরণ বহুল প্রচারে সচেষ্ট থাকবেন এবং সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশাবলী বাস্তবায়ন করবেন।
১২.ঝ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক: তিনি, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে কল্যাণমূলক কার্যক্রম প্রণয়ন ও উহা বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকবেন এবং সদস্যদের চিত্তবিনোদনের জন্য নির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে বছরে কমপক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।
১২.ঞ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক: তিনি নতুন মহিলা সদস্য সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত থাকবেন। তিনি মহিলা বিষয়ক কর্মসূচী প্রণয়ন ও উহার বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকবেন।
১২.ট ক্রীড়া সম্পাদক: তিনি সমিতির সাধারন সদস্য ও তাদের ছেলেমেয়েদের চিত্তবিনোদন এবং সদস্যদের মধ্যে একতা, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ স্থাপনকল্পে কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে বিভিন্ন ধরণের ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।
১২.ঠ সমাজকল্যাণ সম্পাদক: তিনি সমিতির সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
১২.ড শিক্ষা সম্পাদক: তিনি মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা, কম্পিউটার ও কারিগরি শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদন করিবেন।
১২.ঢ কার্যনির্বাহী সদস্য: কার্যনির্বাহী সদস্যবৃন্দ সমিতির আদর্শ ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে নিয়োজিত থাকবেন এবং সাধারন সম্পাদকের নির্দেশাবলী বাস্তাবায়িত করবেন।
ধারা- ১৩: কার্যনির্বাহী কমিটির ও সদস্য পদ শূন্য ঘোষনা:
সমিতির কোন সদস্য কোন প্রকার গ্রহণযোগ্য কারণ ব্যতীত কার্যনির্বাহী কমিটির পর পর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকলে কমিটি তার সদস্য পদ বাতিল ঘোষণা করতে পারবেন এবং প্রয়োজনবোধে তৃতীয় সভায় তার স্থলে নতুন সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবেন। উল্লেখ্য এক মেয়াদে ৩ (তিন) জনের বেশী কো-অপ্ট করা যাবে না।
ধারা- ১৪: সমিতির তহবিল:
১৪.ক ভর্তি ফিস, মাসিক চাঁদা, আজীবন চাঁদা, অনুদান, প্রকাশনা বা প্রদর্শনীর দ্বারা সংগৃহীত অর্থ, সমিতির গঠনতন্ত্র, সমিতি কর্তৃক প্রকাশিত সংকলন, পুস্তক প্রভৃতির বিক্রয়লব্ধ অর্থ এবং সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সাহায্য ও সমিতির পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের আয় ইত্যাদি সমিতির তহবিল বলে গণ্য হবে।
১৪.খ সমিতি ট্রাষ্ট ফান্ড গঠন করতে পারবে।
১৪.গ সমিতির তহবিলের অর্থ দিয়ে কল্যাণমূলক কাজ, অনুদান প্রদান, ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি, আর্ত মানবতার সেবা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংর্ধনা ও পুরস্কৃত করতে পারবেন।
ধারা- ১৫ঃ তহবিলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
সমিতির সমস্ত তহবিল কার্যকরী পরিষদের অনুমোদনক্রমে এক বা একাধিক ব্যাংকে জমা রাখা যাবে এবং সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অর্থসম্পাদক তাদের পদাধিকার বলে যৌথভাবে তহবিল পরিচালনা এবং যে কোন দুইজনের স্বাক্ষরে অর্থ জমা ও উত্তোলন করতে পারবেন। তবে অর্থ উত্তোলনে অবশ্যই অর্থ সম্পাদকের স্বাক্ষর থাকতে হবে।
ধারা- ১৬: হিসেব সংরক্ষণ:
সমিতির আয়-ব্যয় অবশ্যই এক বা একাধিক হিসাব বইতে সংরক্ষন করতে হবে যাতে যে কোন সময়ে সমিতির আর্থিক অবস্থা নিরীক্ষণ করা যেতে পারে।
ধারা- ১৭: বাজেট:
১৭.ক অর্থ সম্পাদক প্রতি বছরের শুরুতে উক্ত বছরের বাজেট প্রস্তুত করে কার্যকরী কমিটি বিবেচনার জন্য পেশ করবেন।
১৭.খ সমিতি প্রতি বছরের প্রথম সভায় সে বছরের বাজেট সাধারন সভায় অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করবেন।
১৭.গ প্রতি বছরের প্রথম সাধারণ সভায় সংসদ কর্তৃক সুপারিশকৃত সে বছরের বাজেট অনুমোদন হবে। প্রয়োজনবোধে সংশোধনীসহ বাজেট অনুমোদন করা যাবে।
১৭.ঘ সাধারণ সভা কর্তৃক অনুমোদন ব্যতীত সংসদের সুপারিশকৃত বাজেট কার্যকরী হবে না।
ধারা- ১৮: অডিট:
১৮.ক কার্যনির্বাহী পরিষদ বছর শেষ হওয়ার সাথে সাথে বিগত বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব পরীক্ষা করার জন্য ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নুন্যতম তিনজন বিশেষজ্ঞ সদস্যকে অডিটর নিয়োগ করবে অথবা ১টি ফার্ম এর মাধ্যমে অডিট করা যেতে পারে।
১৮.খ অডিটরগণ জানুয়ারী মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে কিংবা তার পূর্বেই সাধারণ সম্পাদকের নিকট অডিট রিপোর্ট দাখিল করবেন।
১৮.গ অর্থ সম্পাদক সাধারণ সভায় অডিট রিপোর্ট পড়ে শুনাবেন।
১৮.ঘ সদস্যগণ ইচ্ছা করলে অডিট রিপোর্ট এর উপর আলোচনা করতে পারবেন।
১৮.ঙ স্থানীয় সমাজ সেবা অফিসার কর্তৃক অডিট করানো যেতে পারে।
ধারা- ১৯: বার্ষিক সাধারণ সভা:
প্রতি বছর ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যে সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সভায় সাধারণ সম্পাদক বার্ষিক বিবরণী পেশ করবেন ও বছরের পূর্নাঙ্গ কার্যবিবরণী ও আয় ব্যয়ের নিরীক্ষিত হিসেব পেশ করবেন। অর্থ সম্পাদক বার্ষিক হিসেব পেশ করবেন। সাধারণ সভায় উপস্থাপিত সকল প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্মতিতে গৃহীত হবে। বার্ষিক সাধারণ সভা আহ্বানের পূর্বে কমপক্ষে পনের দিনের নোটিশে সাধারণ সভা আহ্বান করতে হবে। সমিতির মোট সদস্যের ৩ ভাগের ১ ভাগ সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে। সাধারণ সভায় সদস্যদেরকে বক্তব্য পেশ করার সুযোগ প্রদান করতে হবে। সাধারণ সভায় কেবলমাত্র নিয়মিত সদস্যগণই ভোট দিতে পারবেন। বিশেষ প্রয়োজনে ৭ দিনের নোটিশে সাধারণ সভা আহ্বান করা যাবে।
ধারা- ২০ঃ বিশেষ সাধারণ সভাঃ
সভাপতি অথবা সভাপতির অনুমোদনক্রমে সাধারন সম্পাদক বছরে যে কোন সময় সমিতির বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করতে পারবেন। সমিতির গঠনতন্ত্র সংশোধন বা যে কোন জটিল সমস্যা সমাধানে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। কমপক্ষে ১৫ দিনের নোটিশ প্রদানে সভা অনুষ্ঠিত হবে। জরুরী প্রয়োজনে ৭ দিনের নোটিশে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় সাধারণ সদস্যদের এক তৃতীয়াংশ সদস্য উপস্থিত হলে সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ধারা- ২১: অনুরোধক্রমে সভা (তলবী সভা):
সমিতির অন্ততঃ মোট সদস্যের এক তৃতীয়াংশ সদস্যের স্বাক্ষরযুক্ত অনুরোধে সভাপতি ১৫ দিনের মধ্যে যথানিয়মে সমিতির সাধারণ সভা আহ্বান করতে বাধ্য থাকবেন। যদি সভাপতি উক্ত সময়ের মধ্যে সভা আহ্বান করতে অসমর্থ হন তা হলে বর্ণিত স্বাক্ষরকারীরাই ৭ দিনের নোটিশে নির্দিষ্ট তারিখ ও স্থান উল্লেখ করে সংবাদ পত্রে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সভা আহ্বান করতে পারবেন। উক্ত সভায় মোট সদস্যের তিন ভাগের দুইভাগ সদস্য উপস্থিত থাকলেই উক্ত সভার সিদ্ধান্ত কার্যকরী হবে।
ধারা- ২২ঃ কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা:
কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা সাধারণত ৭ দিনের নোটিশে মাসে একবার অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সভাপতি অথবা সভাপতির অনুমোদনক্রমে সাধারণ সম্পাদক ২৪ ঘন্টার নোটিশে কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরী সভা আহ্বান করতে পারবেন। কার্যনির্বাহী পরিষদের মোট সদস্যের এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে কোরাম হবে এবং সভা অনুষ্ঠান করা যাবে।
ধারা- ২৩ঃ নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন অনুষ্ঠান:
প্রতি দুই বছর অন্তর সমিতির বার্ষিক সভায় প্রত্যেক পদের জন্য সরাসরি প্রত্যক্ষ/গোপন ভোটে কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট বছরের ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হবে, তবে কোন বিশেষ কারণে সম্ভব না হলে পরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে এবং নির্বাচনের দুমাস পূর্বে নির্বাচনের তারিখ কার্যকরী সংসদের সভায় স্থির করতে হবে এবং নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না এমন সদস্যদের মধ্য থেকে একজন চেয়ারম্যানসহ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত তারিখের ৩০ দিন আগে দৈনিক পত্রিকায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচনের ১ মাস (ত্রিশ দিন) পূর্বে যারা আজীবন সদস্য হবেন এবং সাধারন সদস্য হিসেবে যারা নিয়মিত কমপক্ষে ৬ মাসের চাঁদা, ভর্তি ফিস ইত্যাদি পরিশোধ করবেন শুধু সে সকল সদস্যই ঘোষিত নির্বাচনে ভোটার তালিকাভুক্ত হয়ে প্রার্থী হওয়ার এবং ভোট প্রদানের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন অর্থাৎ কোন বকেয়া অথবা সাধারন সদস্য হিসাবে মেয়াদ ৬ মাসের কম হলে প্রাথী হওয়ার কিংবা ভোট প্রদানের যোগ্য বিবেচিত হবেন না। নির্বাচনে একই ব্যক্তি একাধিক পদের জন্য প্রার্থী হতে পারবেন না। প্রত্যেক ভোটার সংসদের কর্মকর্তা ও সদস্যদের সংখ্যানুযায়ী একটি করে ভোট দিতে পারবেন। কোন পদে প্রার্থী না থাকলে সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। নির্বাচনে সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রতিনিধি প্রয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন।
ধারা- ২৪: নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা:
নির্বাচন কমিশন সমিতির গঠনতন্ত্র মোতাবেক কার্যনির্বাহী পরিষদের ও সদস্য নির্বাচন সম্পন্ন করবেন। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনবোধে গঠনতন্ত্রের কোন ধারা কিংবা উপধারার পরিপন্থী নয় এমন নির্বাচন সংক্রান্ত উপ-বিধি প্রণয়ন করতে পারবেন। নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার জন্য নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
ধারা- ২৫: দায়িত্বভার হস্তান্তর:
২৫.ক নির্বাচন অনুষ্ঠানের ১৫ দিনের মধ্যে নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদের নিকট দায়িত্বভার হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে।
২৫.খ কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন সদস্য পদত্যাগ করলে কার্যনির্বাহী পরিষদের কর্তৃক তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ কিংবা পদত্যাগ পত্র গ্রহণ না করা পর্যন্ত উক্ত সদস্য দায়িত্বভার পালন করতে হবে।
ধারা- ২৬: আঞ্চলিক শাখা অফিস:
ঢাকা জেলায় যে কোন অঞ্চলে সমিতির আঞ্চলিক শাখা গঠন করা যাবে। তবে এর জন্য অবশ্যই কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদন থাকতে হবে। কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদন ব্যতিরেকে কোন আঞ্চলিক শাখার গঠনতন্ত্র কার্যকর হবে না। আঞ্চলিক শাখা পরিচালনার ক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
ধারা- ২৭: সমিতির গঠনতন্ত্র সংশোধন:
সমিতির সকল কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে অত্র গঠনতন্ত্রই একমাত্র আইন সংগত নির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হবে। ভবিষ্যতে বিশেষ প্রয়োজনে অথবা সমিতির পরিচালনার সুবিধার্থে অত্র গঠনতন্ত্র সংশোধন, পরিবর্তন কিংবা পরিবর্ধনের জন্য সমিতির যে কোন সাধারন সদস্য সাধারন সম্পাদকের নিকট লিখিত প্রস্তাব করতে পারবেন, যা পরবর্তী সাধারণ সভায় উপস্থিত এক তৃতীয়াংশের সমর্থনে গৃহীত হবে। সাধারণ সম্পাদক সংশোধিত প্রস্তাবের উপর কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিমতসহ সাধারণ সভায় তা উপস্থাপন করতে পারবেন।
ধারা- ২৮: সমিতির তহবিল বৃদ্ধি:
সমিতির তহবিল বৃদ্ধিকল্পে যে কোন প্রকল্প/কর্মসূচী/অনুষ্ঠান পরিচালনার পূর্বে কার্যনির্বাহী পরিষদের পূর্বানুমতি গ্রহণ করবে হবে এবং গৃহীত প্রকল্প/কর্মসূচী অনুষ্ঠান শেষে আয় ব্যয়ের পুরো হিসাব কার্যনির্বাহী পরিষদের নিকট দাখিল করা হবে।
ধারা- ২৯: আইনানুগ দিক নির্দেশনা:
অত্র সমিতিটি ১৯৬১ সনের ৪৬নং অধ্যাদেশের আওতায় এবং দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী এর সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে। অন্যান্য কার্যক্রম কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে কার্যকর হবে।
ধারা- ৩০: বিলুপ্তি করণ:
যদি কোন সুনির্দিষ্ট কারণে সমিতির বিলুপ্তির প্রশ্ন ওঠে, তাহলে সাধারণ সভায় ৫ ভাগের ৩ ভাগ সদস্যের অনুমোদনক্রমে নিবন্ধীকরন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করতে হবে। এ বিষয়ে নিবন্ধীকরন কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ সমিতির স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির বিষয়ে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।