বীমা হল অর্থের বিনিময়ে জীবন, সম্পদ বা মালামালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির ন্যায়সঙ্গত ও নির্দিষ্ট ঝুঁকির স্থানান্তর। এর মাধ্যমে ব্যক্তি বা বীমা প্রতিষ্ঠান অর্থের (প্রিমিয়ামের) বিনিময়ে মক্কেলের আংশিক বা সমস্ত সম্ভাব্য ঝুঁকি গ্রহণ করে থাকে। এটি অনিশ্চিত ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার একটি অংশ।
বীমা কোম্পানিগুলোকে প্রিমিয়াম প্রদানের মাধ্যমে বীমাকৃত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সব ধরনের সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে মুক্ত থাকে এবং অসংখ্য বীমাকৃত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে বীমা কোম্পানিগুলো মূলধন বৃদ্ধি করে। বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা ছাড়াও ব্যাক্তিগতভাবে অর্থ সঞ্চয় করে সম্ভাব্য ঝুঁকির দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকা যায়। বীমা প্রক্রিয়া, ক্ষয়ক্ষতির ধরন এবং ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে কিছু মূলনীতি মেনে চলতে হয়।
বেসরকারী কোম্পানী কর্তৃক বীমা করানোর জন্য সাতটি বীমাযোগ্যতার মূলনীতি মেনে চলতে হয়ঃ
জীবন বীমা হল মানুষের মৃত্যুজনিত ঝুঁকি, ক্ষতি, বিপদ হস্তান্তরে বা এড়ানোর একটি কৌশল। বীমাগ্রহীতার মৃত্যু অথবা বার্ধক্য অবস্থায় বীমাগ্রহীতা অথবা তার পরিবার পরিজনদের আর্থিক ক্ষতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আধুনিক যুগে জীবন বীমা একটি কার্যকর মাধ্যমে হিসেবে কাজ করে।
বীমাগ্রহীতার নির্দিষ্ট হারে প্রিমিয়াম পরিশোধের বিনিময়ে বীমাকারী প্রতিষ্ঠান বা বীমা কোম্পানীর বা মেয়াদ শেষে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে অথবা তার মৃত্যুর পর পূর্ব নির্ধারিত পরিমান অর্থ পরিশোধের যে প্রতিশ্রুতি দেয় এ চুক্তিগত ব্যবস্থাকে জীবন বীমা বলা হয়। সুতরাং জীবন বীমা হলো বীমাগ্রহীতা এবং বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পাদিত একটি আধুনিক চুক্তি যাতে সুনির্দিষ্ট প্রিমিয়াম পরিশোধের প্রতিদান হিসেবে বীমাকারী প্রতিষ্ঠান বীমাগ্রহীতাকে অথবা তার উত্তরাধিকারীদের বা তার মনোনীত ব্যক্তিকে তার মৃত্যুর পর অথবা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে।
জোড়কানন (পশ্চিম) ইউনিয়নের বীমা কোম্পানির নাম সমসূহ:
১ ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেস - সুয়াগঞ্জ
২। মেঘনা লাইফ ইন্সুরেস - সুয়াগঞ্জ
৩। সানলাইফ ইন্সুরেস- সুয়াগঞ্জ
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS